সারসংক্ষেপ (Abstract)
বাংলাদেশ ২০২৬ সালের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক গভীর সংকটপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে—যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক ভঙ্গুরতা, অমীমাংসিত সামাজিক–রাজনৈতিক ক্ষোভ এবং জাতীয় রূপান্তরের প্রতিদ্বন্দ্বী দৃষ্টিভঙ্গি একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত। এই প্রবন্ধে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ক্ষয় এবং বিতর্কিত রাজনৈতিক রূপান্তরের গতিবিধি বিশ্লেষণ করা হয়েছে নির্বাচনী কর্তৃত্ববাদ, সংঘাতমূলক রাজনীতি এবং শাসনব্যবস্থার স্থিতিশীলতা–সংক্রান্ত তাত্ত্বিক কাঠামোর আলোকে।
নির্বাচনকেন্দ্রিক আন্দোলনের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা পর্যালোচনা করে দেখানো হয়েছে, কীভাবে বয়কট, দমন–পীড়ন এবং কারচুপিপূর্ণ নির্বাচন গত পনেরো বছরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে রূপ দিয়েছে। প্রবন্ধের উপসংহারে ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য দৃশ্যপটগুলো তুলে ধরা হয়েছে এবং একটি “নতুন বাংলাদেশ”–এর নৈতিক আকাঙ্ক্ষাকে সামনে আনা হয়েছে—যেখানে কোনো রাজনৈতিক দলকে বর্জন করা হবে না, কোনো নাগরিককে নীরব করা হবে না, এবং ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
১. নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিবাদের ঐতিহাসিক গতিপথ
১.১ প্রতিদ্বন্দ্বিতার মঞ্চ হিসেবে নির্বাচন: ১৯৯০–এর উত্তরাধিকার
বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক গতিপথ ১৯৯০ সালে সামরিক শাসনের পতনের মাধ্যমে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এরশাদ সরকারের পতন শুধু নির্বাচনী গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেনি, বরং দুটি কাঠামোগত উত্তরাধিকার স্থায়ী করেছে—
-
গণতান্ত্রিক বৈধতার প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে নির্বাচন,
-
অভিজাত রাজনৈতিক ঐকমত্য ভেঙে পড়লে চূড়ান্ত সংশোধনী শক্তি হিসেবে রাজপথের আন্দোলন।
এই দ্বৈত বাস্তবতা চার্লস টিলি ও সিডনি ট্যারোর গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে তারা সংঘাতমূলক রাজনীতিকে রাজনৈতিক দাবি উত্থাপন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিরোধের সংযোগস্থল হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাস এই তত্ত্বের বাস্তব উদাহরণ—যখন প্রাতিষ্ঠানিক আস্থা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তখন রাজনৈতিক ক্ষোভ রাজপথে বিস্ফোরিত হয়।
১.২ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি ও নির্বাচনী আস্থার অবক্ষয়
১৯৯৬ সালে প্রবর্তিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা একটি “নিরপেক্ষ রেফারি” হিসেবে কাজ করেছিল এবং ক্ষমতাসীন সরকারের কারচুপির আশঙ্কা অনেকাংশে কমিয়েছিল। কিন্তু ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ব্যবস্থা বিলুপ্ত হওয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থিতিশীলকারী প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়ে এবং নির্বাচনী প্রশাসন পুনরায় রাজনৈতিকীকৃত হয়। বিরোধী দল—বিশেষত বিএনপি—এই পরিবর্তনকে অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতায় থাকার কৌশল হিসেবে ব্যাখ্যা করে, যার ফলশ্রুতিতে বয়কট, হরতাল, অবরোধ ও সহিংস সংঘাতের পুনরাবৃত্ত চক্র শুরু হয়।
১.৩ নির্বাচনী অবৈধতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রতিবাদ
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বড় রাজনৈতিক সংঘাতগুলো আকস্মিক ছিল না; বরং ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাসের পূর্বানুমেয় পরিণতি। প্রতিটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন জনক্ষোভের কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং প্রক্রিয়াগত নির্বাচন হলেও তা substantive বৈধতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। ২০২৪ সালে এই চক্র এক গণ–অভ্যুত্থানে গিয়ে culminate করে, যা শাসনব্যবস্থাকে মৌলিকভাবে অস্থিতিশীল করে তোলে।
২. শাসন–পরিবর্তন ও বিরোধী দল বর্জনের প্রভাবকসমূহ
২.১ শেখ হাসিনা আমলে বর্জনের কাঠামো
Levitsky ও Way–এর competitive authoritarianism তত্ত্ব ২০০৯–২০২৪ সময়কালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা বোঝার জন্য কার্যকর কাঠামো প্রদান করে। এই সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী শক্তিকে প্রান্তিক করতে বহুমাত্রিক কৌশল গ্রহণ করে—
-
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (DSA), ICT আইন এবং সাজানো ফৌজদারি মামলার মাধ্যমে আইনি দমন;
-
গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গণ–গ্রেপ্তারের মতো বলপ্রয়োগমূলক দমন;
-
নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ ও পুলিশের প্রাতিষ্ঠানিক দখল;
-
বিরোধী দলের সমাবেশ, সভা ও কার্যালয়ে প্রশাসনিক বাধা।
এই পদ্ধতিগুলো বিএনপির সাংগঠনিক সক্ষমতা ধারাবাহিকভাবে ক্ষয় করেছে এবং নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিকল্প রাজনৈতিক বয়ান উপস্থাপনের ক্ষমতা দুর্বল করেছে।
২.২ ২০২৪–পরবর্তী এককেন্দ্রিক সরকারের ধারাবাহিকতা
২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী প্রশাসন গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলেও বেশ কিছু নীতিতে পূর্ববর্তী কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার প্রতিধ্বনি দেখা যায়—
-
সাবেক ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আটক করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ব্যবহার;
-
বিশেষ করে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত;
-
নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বের বাইরে থাকা টেকনোক্র্যাটিক কাঠামোর হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা।
টার্গেট বদলালেও বর্জনের যুক্তি অপরিবর্তিত থাকায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে কাঠামোগত কর্তৃত্ববাদ শাসক বদলের পরও টিকে থাকতে পারে।
৩. বিতর্কিত নির্বাচনসমূহের সমালোচনা: ২০১৪ ও ২০২৪
৩.১ ২০১৪: প্রতিযোগিতাহীনতার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁকবদল। বিএনপির বয়কটের ফলে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চলে যায়। ব্যাপক সহিংসতা, কম ভোটার উপস্থিতি এবং সংখ্যালঘুদের ওপর লক্ষ্যভিত্তিক হামলা নির্বাচনের বৈধতা আরও দুর্বল করে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এটিকে “গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ” হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং একাডেমিক বিশ্লেষণে এটিকে hegemonic electoral authoritarianism–এর উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
৩.২ ২০২৪: নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের চূড়ান্ত রূপ
গণ–গ্রেপ্তার, দমন–পীড়ন ও বিরোধী বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত ২০২৪ সালের নির্বাচন পূর্বনির্ধারিত ফলাফলই উপস্থাপন করে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও তথাকথিত “স্বতন্ত্র” প্রার্থীদের মধ্যে পার্থক্য অস্পষ্ট হয়ে যায় এবং কম ভোটার উপস্থিতি জনআস্থার গভীর সংকটকে নির্দেশ করে।
এই নির্বাচন ছিল এক দশকের ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত প্রকাশ—যেখানে নির্বাচন ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য নয়, বরং ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার বৈধতা প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
৪. ২০১৮ সালের নির্বাচনের অনিয়ম
২০১৮ সালের নির্বাচনকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে পদ্ধতিগতভাবে কারচুপিপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল—
-
ভোট শুরুর আগেই কেন্দ্রগুলোতে ভর্তি করা ব্যালট বাক্স;
-
সহিংসতা বা ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বিরোধী এজেন্টদের বহিষ্কার;
-
পর্যবেক্ষণের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ফুলে ওঠা ভোটার উপস্থিতির হার;
-
ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের মাধ্যমে বুথ দখল;
-
গণমাধ্যমে স্বাধীন প্রতিবেদন বাধাগ্রস্ত করা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ৫০টির মধ্যে ৪৭টি আসনে অনিয়ম নথিভুক্ত করে। এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের সুপারমেজরিটি নিশ্চিত করে এবং রাষ্ট্র–নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনী ফলাফলকে স্বাভাবিক করে তোলে।
৫. ২০২৪ সালের গণ–আন্দোলনের সামাজিক–রাজনৈতিক প্রভাব
৫.১ প্রজন্মগত পুনর্জাগরণ
কোটা সংস্কার থেকে শুরু হওয়া ২০২৪ সালের ছাত্রনেতৃত্বাধীন আন্দোলন দ্রুত কর্তৃত্ববাদ, দুর্নীতি ও দায়মুক্তির বিরুদ্ধে এক গণ–আন্দোলনে রূপ নেয়। পূর্ববর্তী দলীয় আন্দোলনের বিপরীতে এতে ছিল—
-
অনুভূমিক নেতৃত্ব কাঠামো,
-
ডিজিটাল সংগঠন নেটওয়ার্ক,
-
শ্রেণি, লিঙ্গ ও অঞ্চলের সীমা অতিক্রমকারী অংশগ্রহণ।
এই আন্দোলন নতুন রাজনৈতিক চেতনা সৃষ্টি করে এবং কাঠামোগত গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবি জোরদার করে।
৫.২ নাগরিক সমাজের রাজনৈতিক পুনরুত্থান
দীর্ঘদিনের দমন–পীড়নে দুর্বল হয়ে পড়া নাগরিক সমাজ ২০২৪ সালের আন্দোলনের মাধ্যমে আবার একটি কার্যকর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়। মানবাধিকার সংগঠন, পেশাজীবী ও যুব সংগঠন জাতীয় আলোচনায় নিজেদের স্থান পুনরুদ্ধার করে।
৬. রাজনৈতিক অধিকার দমনাধীন “নতুন বাংলাদেশ”–এর সম্ভাব্য দৃশ্যপট
৬.১ দৃশ্যপট–ক: নিয়ন্ত্রিত বহুদলীয়তা
যদি বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে বাদ দিয়ে বা রাজনৈতিক স্বাধীনতা সীমিত রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রিত বহুদলীয়তার দিকে ধাবিত হতে পারে। এর পরিণতি হতে পারে—
-
কম ভোটার অংশগ্রহণ,
-
দীর্ঘস্থায়ী বৈধতা সংকট,
-
পুনরাবৃত্ত আন্দোলনের চক্র।
৬.২ দৃশ্যপট–খ: অভিভাবকতান্ত্রিক গণতন্ত্র
আরও কঠোর দৃশ্যপটে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বা টেকনোক্র্যাটিক কাঠামোর তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হতে পারে। এতে নির্বাচন থাকলেও প্রকৃত প্রতিযোগিতা সীমাবদ্ধ থাকবে এবং দীর্ঘমেয়াদি গণতান্ত্রিক সংহতি বাধাগ্রস্ত হবে।
৬.৩ দৃশ্যপট–গ: অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন
আশাব্যঞ্জক পথটি অন্তর্ভুক্ত করে—
-
পূর্ণ রাজনৈতিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা,
-
সকল অ–সহিংস দলের জন্য উন্মুক্ত নির্বাচন,
-
বিচার বিভাগ, নিরাপত্তা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার।
এটাই নতুন বাংলাদেশ–এর আদর্শ—গণতন্ত্র, মানবিকতা, বহুত্ববাদ ও আইনের শাসনে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র।
৭. নীতিগত ধারাবাহিকতা ও প্রতিবাদের কাঠামোগত কারণ
শাসক পরিবর্তিত হলেও অনেক কাঠামোগত অনুশীলন রয়ে গেছে। ২০২৪–পূর্ব ও পরবর্তী সরকারের মধ্যে ধারাবাহিকতা দেখা যায়—
-
রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনে ব্যতিক্রমী আইনের অতিরিক্ত ব্যবহার;
-
নির্বাহী বা আধা–নির্বাহী কাঠামোতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা;
-
জবাবদিহির স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অভাব।
এই ধারাবাহিকতা সেই পরিস্থিতিই পুনরুৎপাদন করে, যা অতীতে গণ–আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে। শাসন যদি নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রিক থেকে অধিকারকেন্দ্রিক না হয়, তবে দমন ও প্রতিরোধের চক্র চলতেই থাকবে।
৮. রাজনৈতিক দমনের মধ্যেও নির্বাচন: এক মৌলিক বৈপরীত্য
২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের সামনে মূল প্রশ্নটি হলো—
যখন প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলো কাঠামোগতভাবে বাদ পড়ে, তখন নির্বাচন কীভাবে অর্থবহ হতে পারে?
শেখ হাসিনার আমলে বিএনপি হোক বা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগ—লক্ষ্য বদলালেও সমস্যার মূল একই থাকে:
রাজনৈতিক প্রতিযোগিতাকে অপরাধে পরিণত করলে গণতন্ত্র কার্যকর হতে পারে না।
এই বৈপরীত্য নির্বাচনগুলোর নৈতিক ও রাজনৈতিক ভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও বহুদলীয় ব্যবস্থার জন্য জনগণের পনেরো বছরের সংগ্রামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
উপসংহার: গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের পথে
বাংলাদেশ এখন এক রূপান্তরমূলক সুযোগের মুখোমুখি। ২০২৬ সালের নির্বাচন হতে পারে—
-
প্রকৃত গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের সূচনা, অথবা
-
নিয়ন্ত্রিত রূপান্তরের দীর্ঘ ধারাবাহিকতার আরেকটি অধ্যায়।
একটি নতুন বাংলাদেশ—যেখানে কোনো দল দমন হবে না, কোনো নাগরিক নীরব হবে না এবং কোনো নির্বাচন পূর্বনির্ধারিত থাকবে না—এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন কাঠামোগত সংস্কার, রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি এবং ন্যায় ও মানবিকতার প্রতি অটল অঙ্গীকার।
এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়—সবারই সাহসী ভূমিকা প্রয়োজন, যাতে বাংলাদেশের পরবর্তী অধ্যায় রচিত হয় দমন বা বর্জনের মাধ্যমে নয়, বরং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনে।
Read the original English version
Presented by
Minhaz Samad Chowdhury
Independent Human Rights Defender
🌐 https://hr-defender.blogspot.com
Focus: State Violence and Religious Minority Rights in Bangladesh
Executant, Center for Bangladesh Digital Services (BDS)
🌐 https://www.bds.vision
Joint Secretary, READO Bangladesh
🌐 https://www.readobd.org
Democracy is not granted by rulers; it is claimed, defended, and preserved by the people.


No comments:
Post a Comment
Please validate CAPTCHA