‘‘আমলাতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণের যোগ্যতা রাজনীতিবিদদের নেই''
এখন যারা বাংলাদেশে রাজনীতি করছেন, তাদের আমলাতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণের যোগ্যতা নেই বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার৷
তবে রাজনীতিবিদ ও আমলারা মিলে দুর্বৃত্তায়ন করেছেন, এমন অভিযোগ মানতে নারাজ প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ৷
‘দুর্নীতি হচ্ছে' এমন অভিযোগ অস্বীকার না করলেও, সরকার কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না বলে মনে করেন মো. আবুল কালাম আজাদ৷ ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' ইউটিউব টকশোতে অতিথিদের এবারের আলোচনার বিষয় ছিল ‘সব কিছু আমলাদের দখলে যাবে'৷
অনুষ্ঠানের শুরুতেই খালেদ মুহিউদ্দীন অতিথিদের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এখন আমলারা সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন কিনা৷ অনেকে বলে থাকেন, নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ায় আমলারা রাজনীতিবিদদের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন৷
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার মনে করেন, রাজনীতি এবং আমলাতন্ত্র দুটোই এখন দুর্বৃত্তায়িত হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতি এখন সঠিক পথে নেই৷ ফলে রাজনীতি যদি দুর্বল হয়ে যায়, আমলাতন্ত্র সেখানে প্রভাব বিস্তার করতে অনেক সুযোগ পায়৷''
নির্বাচনে ভোট হয় না, এমন অভিযোগকে ‘সরল সমীকরণ' এবং ‘কেবল মিডিয়ার প্রচারণা' বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব৷ তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে ভোট হয়নি এমন কথা বলা হলেও সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাবেন না৷ এটা শুধুমাত্র মুখরোচক কথা৷ যদি তাই না হতো, তাহলে বিগত সময়ে দেশ-বিদেশের চাপ ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের চাপে বাংলাদেশ সরকারের অনেক খারাপ অবস্থানে থাকার কথা৷ কিন্তু তাহলে এখন বাংলাদেশ রোল মডেল হয়ে গেল কিভাবে?''
সম্প্রতি নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে আগের নির্বাচনে ‘ভোটের বাক্স সেহরি খেয়েছে' মন্তব্য করে গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার৷ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি ভোট শুরুর আগেই সকাল সাড়ে সাতটায় ব্য়ালট ভরা বাক্স পাওয়া যাওয়ার তথ্য তুলে ধরেন৷
আলোচনায় বর্তমান সরকারের শাসনামলে অর্থনীতির নানা সূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মো. আবুল কালাম আজাদ৷ জবাবে মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র সাংঘর্ষিক অবস্থানে থাকতে পারে না বলে তিনি মনে করেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি বিসর্জন দিয়ে আমরা উন্নয়ন চাই না৷ আমরা যে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেটা হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানবাসীর সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছিলো৷ সেই ভোটের মর্যাদা রক্ষা করার জন্য আমরা অস্ত্র ধরেছিলাম৷''
এডিকে/এআই
No comments:
Post a Comment
Please validate CAPTCHA