সিলেট নগরীর মৌরসী ভূসম্পত্তি রক্ষায় মণিপুরী নেত্রী এস. রীনা দেবীর সংবাদ সম্মেলন - Independent Human Rights Defender, Bangladesh

Latest

Independent Human Rights Defender, Bangladesh

Our mission is: to advocate for the protection of human rights and to promote institutional democracy and good governance to build a strong foundation for our country. We envision a world where every child receives the same quality education regardless of their background through our "One World, One Identity, One Curriculum" initiative. We are committed to creating a protection system for minority communities in Bangladesh to ensure their safety and security.

Tuesday, December 27, 2022

সিলেট নগরীর মৌরসী ভূসম্পত্তি রক্ষায় মণিপুরী নেত্রী এস. রীনা দেবীর সংবাদ সম্মেলন

সিলেট নগরীর মৌরসী ভূসম্পত্তি রক্ষায় মণিপুরী নেত্রী এস. রীনা দেবীর  সংবাদ সম্মেলন

নগরীর শিবগঞ্জ বাজারস্থ মৌরসী ভূসম্পত্তি রক্ষায় ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ এর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ মণিপুরী মহিলা সমিতির সভানেত্রী এস. রীনা দেবীর  সংবাদ সম্মেলন

তারিখঃ ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিঃ।




প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ

আমার অন্তহীন শুভেচ্ছা শ্রদ্ধাঞ্জলি গ্রহণ করুন!

১৮ই জুলাই ১৯৪৭ সালে সালে আমার জন্ম, সেই হিসেবে আমার বয়স ৭৫ বছরেরও বেশি এবং সমাজকর্মী হিসেবে আমার বিচরণ ৪৭ বৎসরেরও অধিক। মানবন্ধন-সহ ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবের এবং আমার প্রাণের সিলেট নগরীরস্থ সাংবাদিক বন্ধুদের মাঝে আমার জীবনে বহুবার এসেছি বিভিন্ন সরকারি /বেসরকারী সংস্থার আয়োজনে, নানা উপলক্ষে। আজ যে মৌরসী ভূমি রক্ষার জন্য, ১৬ বৎসর যাবত আইনী প্রক্রিয়ায়, সংগ্রাম চালাইয়া আসছি, কেবল সেই ভূমি রক্ষায়, সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে, ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাব-সহ আপনাদের সামনে সম্ভবত এসেছি এই নিয়ে ৫ম বার। এই ২৫ ডিসেম্বর সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়ার পর, জীবন সায়াহ্নে এসে, সিদ্ধান্ত নিলাম- আজকের এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে- আমি ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই- সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিশেষত বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনকে, তারই সাথে পেশাদার ভূমিখেকো, সংঘব্ধ, নতুন, পুরাতন, সন্ত্রাসীচক্রের অসংখ্য হামলা আক্রমণ থেকে, যে রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে আমার পরিবার সদস্যদের জানমাল রক্ষায় ধারাবাহিক পাশে থেকেছে, সেই রাষ্ট্রযন্ত্রের কান্ডারী, নির্যাতীত মানুষের আশার আলো, ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে চলা রাষ্ট্রের স্বনির্ভর রাষ্ট্র গড়ার সফল কারিগর, স্বপ্নের পদ্মাসেতুর সফল রূপদাতা, স্বপ্নবাজ রাষ্ট্রনায়ক, ডিজিটাল রাষ্ট্র নির্মাতা এবং ৪১এর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মহোদয়কে নিপীড়িত নির্যাতীত ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাতে এবং সেই সাথে যাদের লেখনীর মাধ্যমে, যাঁরা জীবনের ঝুকি নিয়ে জাতীর কাছে, রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে আমাদের প্রতিটি দুঃসময়েরÑ প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সংবাদ এবং তার ফলোআপ তুলে ধরে আসছেন, সেই মহান সাংবাদিক সমাজকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি জীবন সায়াহ্নে এসে, সম্ভবত আমার জীবনের শেষ সংবাদ সম্মেলনে সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ বাজারস্থ মৌরসী ভূসম্পত্তি রক্ষায় ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ এর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে কিছু কথা, ঘটনা, পরিক্রমা তুলে ধরতে চাই আপনাদের আলোকিত হৃদয়ে।

প্রিয় নিপীড়িত নির্যাতীত মানুষের কন্ঠস্বর

বক্তব্যের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ৫২তম মহান বিজয়ের মাসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাই- জাতীর সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, যাদের আত্মত্যাগের কারণে- এই রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। সেই সাথে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাই- সেই মহানায়ককে, একটি জাতীর আত্মপরিচয়ের জন্য, একটি জাতীর স্বাধিকারের জন্য, যিনি  হাজার ৬৮২দিন কারাভোগ করেছেন, যিনি ফাঁসীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে একটি জাতীর স্বাধীনতা চেয়েছেন, যাঁর ডাকে ৩০ লাখ প্রাণ শহীদ হয়, সেই মহানায়ক জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।


প্রিয় সাংবাদিক সমাজ ঃ

২০২২ সালে  আভির্ভূত নতুন সন্ত্রাসীচক্র, যার নাম এজাজ-চক্র- এই চক্র কি করে (?) তার বিবরণঃ

১। আমার স্বত্ব মোকদ্দমার ১০ নম্বর বিবাদী ‘আব্দুল আজিজ মাসুক’ (পিতা- মনোহর আলী  তেরা মিয়া,  সাকিন- খাঁপুর, থানা- বালাগঞ্জ, জেলা- সিলেট) এর লোক ‘এজাজ’ (যাহার ডানহাতটি কাটা এবং বয়স অনুমান ৩৭ বৎসর) ও এজাজের সঙ্গীয় এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে নিয়া গত ১১ই জুন ২০২২, সময়- অনুমান দুপর পৌনে ১২টায় ঘটনাস্থলে আসেন এবং আমাদের নিকট নিজের নাম ঠিকানা (পিতা- অজ্ঞাত, সাকিন-বাসা নং ১/এ, রোড নং ২৯, বøক- ডি, শাহজালাল উপশহর, সিলেট। মোবাইল ফোন নম্বর - ০১৭১১-৯৭৫০৭০, ০১৭৯২-৩৯৭২৮৭) প্রকাশ করিয়া বলেন “আমি এসেছি আপনাদের স্বত্ব মোকদ্দমার ১০ নম্বর বিবাদী ‘আব্দুল আজীজ মাসুক’ এর পক্ষ হইতে, মোকদ্দমাটি আপোষে নিষ্পত্তিক্রমে স্বত্ব মোকদ্দমাটি প্রত্যাহারের জন্য” এবং প্রত্যুত্তরে আমরা তাহাকে জানাই “বিচারাধীন বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হইবে এবং এই জাতীয় প্রস্তাব নিয়ে ভবিষ্যতে আমাদের কাছে না আসতে নিষেধ করি”। একইভাবে গত ২০ জুলাই ২০২২, সময়- অনুমান দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে, দ্বিতীয়বার ‘এজাজ’ তাহার সঙ্গীয় এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে নিয়া ঘটনাস্থলে আসেন এবং ‘এজাজ’ পূর্বের ন্যায় তাহার কথার মাধ্যমে “জোর জবরদস্তি করেন মোকদ্দমাটি আপোষে নিষ্পত্তিক্রমে স্বত্ব মোকদ্দমাটি প্রত্যাহারের জন্য” এবং প্রত্যুত্তরে এবারও আমরা  তাহাকে জানাই “বিচারাধীন বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হইবে এবং এই জাতীয় প্রস্তাব নিয়ে ভবিষ্যতে আমাদের কাছে না আসতে নিষেধ করি”।  একইভাবে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, সময়- অনুমান বিকাল  ৩টা ৩০ মিনিটে, তৃতীয়বার ‘এজাজ’ তাহার সঙ্গীয় এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে নিয়া ঘটনাস্থলে আসেন এবং এসে ঘটনাস্থলের আমার বসতভিটার গৃহের দেয়ালে থাকা ‘এস. রীনা দেবী’ নামীয় স্বত্বাধীকারী লেখা ঘধসবঢ়ষধঃব এর ছবি তোলেন তাহার হাতে থাকা মোবাইলফোন ক্যামেরায় এবং এজাজ’ পূর্বের ন্যায় তাহার কথার মাধ্যমে “জোর জবরদস্তি করেন মোকদ্দমাটি আপোষে নিষ্পত্তিক্রমে স্বত্ব মোকদ্দমাটি প্রত্যাহারের জন্য এবং আরো বলেন আপনারা ইহাতে বেনিফিট হইবেন এবং অন্যথায় আপনারা ক্ষয়ক্ষতির শিকার হইবেন” এবং প্রত্যুত্তরে এবারও আমরা  তাহাকে জানাই “বিচারাধীন বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হইবে এবং এই জাতীয় প্রস্তাব নিয়ে ভবিষ্যতে আমাদের কাছে না আসতে নিষেধ করি এবং বেনিফিট যা পাওয়ার আমরা আদালত হইতে পাইব”। 

সুত্র- শাহপরাণ থানার সাধারণ ডায়েরী নং ৯০, তারিখ- ০২/১০/২০২২ইং।



২। (ক) বাদী ও বাদীর পরিবার সদস্যদেরকে ভীতসন্ত্রস্ত করার হীনউদ্দেশ্যে; ‘এজাজ’  ও এজাজের সঙ্গীয় এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে নিয়া গত ২৭/১০/২২খ্রিঃ তারিখে অনুমান দুপুর ১টার দিকে আমার নালিশি ভূমিতে আসিয়া, তাহার হাতে থাকা মোবাইল ক্যামেরা দ্বারা আমার নালিশি ভূমির বসতভিটার চারপাশ ভিডিও করিয়া চলিয়া যাওয়ার সময় সতর্ক করিয়া যান, “আদালতের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল না করি, অন্যথায় আপনারা সমুহ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হইবেন”। (খ) ০১/১১/২০২২খ্রিঃ তারিখে মঙ্গলবার অনুমান দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের সময়ে- আমার পাশ^বর্তী শাহাজালাল উপশহরস্থ ‘হিলসিটি একাডেমি’র ক্লাস-ছুটির পর- আমার ছেলে অভিরূপ তাহার ২শিশু সন্তানকে ও আমার বড়ছেলের ১শিশু সন্তানকে নিয়া মটরসাইকেল করে বাড়িতে ফিরার পথে টিলাগড় এলাকার কল্যাণপুর পাড়ার বাসীন্দা জনৈক মাদক ব্যবসায়ী, হিরোইন সম্রাট কুখ্যাত ‘কবির ডাকাত’ নামে লোকজনের কাছে পরিচিত ব্যক্তি কিন্ত আমাদের কাছে অপরিচিত উক্ত ব্যক্তিটি আমার ছেলে অভিরূপকে ঘটনাস্থলে পাইয়া অকথ্য ভাষায় গালাগালি করিয়া হুমকি দেয় “তোরা সব মালাউনের বাচ্চারা জমিজমা বাড়িঘর ফেলিয়া ভারতে পালা, বুঝিস না, তোদের স্বত্ব মামলা খারিজ করিয়া দিছি, আর তোর মাকে বলিস আপিলের চিন্তা বাদ দিয়া ইন্ডিয়ায় ‘জান’ নিয়া পালাইতে, মালাউনের বাচ্চারা হুশবুদ্ধি অয় না-নি, তোরে যদি এই শিবগঞ্জ বাজারে মাইরা ফেলি, তোরে কোন বাপে বাঁচাইব, এইটা মুসলমানের দেশ, মনে রাখবা, কোন হালায় সাক্ষী দেবে-রে” বলিয়া আমার ছেলেকে কিলঘুষি মারতে থাকিলে, ছেলের সাথে থাকা আমার নাতি নাতিনদের কান্নাকাটি চিৎকার শুনিয়া আমার মেয়ে অজন্তা ঘটনাস্থল হইতে ছেলে ও নাতি নাতিনদেরকে বাড়ি নিয়া আসে।

সুত্র- শাহপরাণ থানার সাধারণ ডায়েরী নং ১৪৯, তারিখ- ০৩/১১/২০২২ইং।



৩। ০৯ই ডিসেম্বর ২০২২ অনুমান সকাল ৮ ঘটিকায় বালুবাহী ১টি ট্রাক (যাহার নম্বর- সিলেট ড ১১-২২৭৫) ও ট্রাকের সাথে থাকা ৭/৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে আকষ্মিক আসিয়া আমার মৌরসী বসতভিটায় ট্রাক হইতে বালু ফেলিতে শুরু করিলে আমার মেয়ে অজন্তা তাহাদেরকে বাঁধা দিয়া বলেন- “আপনারা কারা, কেন আমরার জায়গাত বালু ফালাইরা” প্রত্যুত্তরে তাহাদের মধ্যে ১জন মালাউনের বাচ্চা গালি দিয়ে বলে- “আমরা আব্দুল আজিজ মাসুকের লোক, মাসুক ভাই আমরারে পাঠাইছন, এই জায়গাত বালু ফালাইয়া তোমরারে ভিটা থাকি উচ্ছেদ খরতাম, তোমরা যাতে থাকতে না পারো, এরলাগি ইতা খররাম, মাসুক ভাই তাইন তাইনর বইন জাহেদা আফার কাছ থাকি এজায়গা কিন্ছন্ই, তোমরার মা’রে খইও বেশি বাড়াবাড়ি খরতা না, নৈলে খবর আছে"। এই বলিয়া তাহারা বালু ফেলা আবারও শুরু করিলে, তাহাদের সামনে আমার মেয়ে পুলিশ প্রশাসনে  (শাহপরাণ রহঃ থানা সহ) মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানাইয়া যোগাযোগ করিতে থাকিলে এবং শাহপরাণ রহঃ থানা থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার সংবাদটি শুনিতে পাইয়া, তাহারা বালুবাহী ট্রাক নিয়া ঘটনাস্থল হইতে পালাইয়া যায় এবং যাওয়ার সময় তাহাদের মধ্যে থাকা ১ লোক আমার মেয়েকে হুমকি দিয়া বলে “ মাসুক ভাইরে ছিনো-না তোমরা” দেখমনেু- খয়দিন তোমরারে পুলিশে রক্ষা খরে ”

সুত্র- শাহপরাণ থানার সাধারণ ডায়েরী নং ৪৬৩, তারিখ- ০৯/১২/২০২২ইং।



৪। ২৫/১২/২০২২ তারিখে সকাল অনুমান ৬টা ২০ মিনিটের সময় উল্লেখিত আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একই উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে সংঘবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে দেশীয় অস্ত্র দা, ছুরি, শাবল, হ্যামার, ড্রিল মেশিন, লোহার রড, গ্রিল কাটার মেশিন,  কুড়াল, কিরিছ ইত্যাদি নিয়ে এসে গালিগালাজ করে বলে জানে বাঁচতে চাইলে এক্ষুণি বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে যা নতুবা প্রাণে মেরে ফেলব। গালিগালাজ শুনে আমরা ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে দেখি সমূহ আসামীগণ আমাদের জায়গায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করেছে। আমাদের দেখতে পেয়ে আসামী এজাজ তার হাতে থাকা ধারাল দা নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য আমার দিকে দৌড়ে আসে। আমি ভয় পেয়ে দরজা বন্ধ করে দেই তখন লাথি দিয়ে আঘাত করে এবং বলতে “দরজা লাগিয়ে কতদিন থাকবে, আজই তোদেরকে খুন করে এই বাড়ির দখল নেব”। আসামী এজাজের হুকুমে অন্যান্য আসামীরা আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসতে থাকলে আমরা ভয়ে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে প্রাণরক্ষা করি, তখন আসামী এজাজের হুকুমে এবং তার নেতৃতে দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া প্রদর্শন ভয়ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসামী মুহিবুর রহমান মুহিব, ইকবাল হোসেন জুয়েল, মোর্শেদুল ইসলাম মুর্শেদ, ইসতাক আহমদ, বিশু এবং অন্যান্য আসামীরা কংক্রিটের পিলার, লোহার গ্রীল ভাঙ্গা শুরু করে এবং কিছু লোক লোহার গ্রীল, কাঠ ইত্যাদি বহন করে নিয়া যায়। আসামী এজাজ, মুহিবুর রহমান মুহিব, ইকবাল হোসেন জুয়েল, মোর্শেদুল ইসলাম মুর্শেদ, ইসতাক আহমদ, বিশু ঘরে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ঘরে থাকা সেলাই মেশিন. থান কাপড়, মণিপুরি শাড়ী, শাল বোনার জন্য ক্রয়কৃত তাঁত মেশিন, সুতা ইত্যাদি ভাঙ্চুর করে এবং তছনছ করে সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করে ফেলে এবং আসামী এজাজ, মুহিবুর রহমান মুহিব ও ইকবাল হোসেন জুয়েল গ্রীলের জানালা ভেঙ্গে ফেলে আসামী এজাজ ঘরে প্রথমে প্রবেশ করে দরজা খুলে দে তখন অন্যান্য আসামীরা ঘরে বেআইনী অনুপ্রবেশ করে। আসামী এজাজ, মোর্শেদুল ইসলাম মুর্শেদ, ইসতাক আহমদ, বিশু গংরা আমাদেরকে ঘুরতোর আঘাত এবং মৃত্যু ভয় দেখাইয়া ২টি সেলাই মেশিন রেখে অবশিষ্ট সেলাই মেশিন ও মালামাল জোরপূর্বক নিয়া যায়। আসামী এজাজ, ইকবাল হোসেন জুয়েল এবং মুহিব জানালার গ্রীল এবং বাসা লাগোয়া সবজিবাগানের ৫টি পিলার ভেঙ্গে ফেলে ঘুরতোর আঘাত এবং মৃত্যু ভয় দেখাইয়া ৬ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ৩০ ফুট লম্বা লোহার গ্রীল কেটে নিয়ে যায়। সমুহ আসামীগণ ও অজ্ঞাতনামা আসামীগণ দ্বারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা। আসামীগণ অবৈধ অনুপ্রবেশ করে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁতের তৈরি মণিপুরি শাড়ী, শাল, বিছানা চাদর ইত্যাদি সহ মোট ১,৫০,০০০/- টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। আসামীদের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষার জন্য শাহ্পরাণ থানার ০১৩২০০৬৭৭৪১ নম্বর মোবাইলে ফোন দিয়ে ঘটনা বলি। শাহ্পরাণ থানা পুলিশ এসে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে আসামীগণ হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায় এবং যাওয়র সময় বলে যেকোন মূল্যে আমাদের জায়গা দখল করবে। বর্তমানে আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে প্রাণ সংশয়সহ সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের আশংকায় চরম আতংকে দিন যাপন করছি।


সুত্র- শাহপরাণ থানার মামলা নং ১৯, তারিখ- ২৫/১২/২০২২ইং

ধারা-১৪৩/৪৪৮/৪২৭/৩৭৯/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড-১৮৬০।




প্রিয় নির্যাতীত মানুষের বন্ধু ঃ

আমাদের কাছে ঘটনার সুত্রপাত ২০০৬ সালে, পেশাদার ভূমিদস্যুচক্ররা শুরু করে ১৯৮৮ সালেঃ

৫। (ক) আমাদের কাছে ঘটনার সুত্রপাত হয় ১৩/০৩/২০০৬ সালে। ১৩/০৩/২০০৬ তারিখে নগরীর টিলাগড়ের জনৈক মানিক মিয়ার নেতৃত্বে নির্মাণ সামগ্রী সহ দলবল নিয়া ও সাথে নির্মাণ শ্রমিক নিয়ে শিবগঞ্জ বাজারস্থ আমার মৌরসী ভূমিতে পাকার কাজ শুরু করার চেষ্টা করিলে, তৎসময়কার কতোয়ালী থানার পুলিশ আসিয়া ভূমিখেকোচক্রকে ঘটনাস্থল থেকে তাড়াইয়া দেয় এবং ঐ সময়ে অর্থাৎ ২০০৬ সালে পুলিশকে তারা জানায় এই জমি নাকি আমার স্বামী অমৃত সিংহ ১৯৮৮সালে একখানা বিনিময় দলিলের মাধ্যমে এই জায়গার স্বত্ব ত্যাগ করেন।  

সুত্র- কতোয়ালী থানার মামলা নং ৯৩৭  , তারিখ-১৩/০৩/২০০৬ইং।



৫। (খ) ভূমিদস্যুচক্রের সদস্য টিলাগড় এলাকার জনৈক আব্দুছ ছালামের সাথে আমার স্বামী অমৃত সিংহের সাথে ১টি বিনিময় দলিল মাধ্যমে  ২৭/১২/১৯৮৮ সালে আমার শিবগঞ্জ বাজারস্থ  মৌরসী জমির ৪৪ শতকের বিনিময়ে দক্ষিণ গাছ মৌজায় উক্ত আব্দুছ ছালাম আরও ৩৮শতক জমি বেশি দিয়ে আমার স্বামীকে মোট ৭৮ শতক জমি দেয়।  উক্ত বিনিময় দলিলের বিষয়টি বাস্তবিক অর্থে আমার স্বামী দ্বারা যদি সম্পাদিত হতো, তবে অবশ্যই আমার স্বামী তাহার জীবদ্দশায় আমাকে, আমার শ্বাশুড়ি মাকে, আমার সন্তানদেরকে বলে যেতেন এবং তাহার জীবদ্দশা হইতে উক্ত কল্পিত জমির উপস্বত্ব ভোগ করতেন।

সুত্র- বিনিময় দলিল নং ১৫৮৬৫, তারিখ- ২৭/১২/১৯৮৮ইং

৬। ভূমিদস্যুচক্ররা সরজমিনে অনেকে না থাকিয়াও কোথাও থেকে গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের বিল দেখায়, কিন্তু আমরা সরজমিনে থাকিয়াও ২০১০ সাল হইতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করিয়া আসিতেছি নিয়মিত, কিন্ত আমরা মাসে মাসে কোন বিল বিদ্যুৎ বিভাগ হইতে পাই না, বরং আমাদেও বিদ্যুৎ মিটার সব সময়ই ০ শুণ্য দেখায়।

অনেক কিছু বলার ছিল আজ আমাদের, কিন্ত আতংক, উদ্বেগ উৎকন্ঠার পরিস্থিতি থাকায় নির্ঘুম রাত যাপন করিতে হয়, তবুও ২০১১ সালে জানুয়ারী মাসে আমার বড় ছেলে বিদ্যুৎ প্রকৌশলী অয়ন কুমার সিংহের বিয়ের দিনে শতাধিক লোকজন নিয়া আমার বসত বাড়িতে হামলা চালাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসন আমার শিবগঞ্জ বাজারস্থ বাড়িতে ৮মাস ১০দিন সার্বক্ষণিক পুলিশ দিয়া আমার ও আমার পরিবার সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তা দিয়েছেন এবং এখনো ধারাবাহিক নিরাপত্তা শেখ হাসিনার প্রশাসন থেকে পেয়ে আসছি। আমরা আইনী প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ লড়াই চালিয়ে যেতে চাই এবং সর্বোচ্চ আদালতে লড়ে আমরা হেরে যাই, আমরা নিরবে জমির উপর দখল ত্যাগ করিব। তৎসময় পর্যন্ত আমি ও আমার পরিবার সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তা চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আকুল আবেদন করছি। 

আপনাদের সবার সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ- 


সংবাদ সম্মেলনে এস রীনা দেবীর লিখিত বক্তব্যের তিন পাতার কপি






Endless gratified thanks for reading / watching /listening

No comments:

Post a Comment

Please validate CAPTCHA